কক্সবাজারের উখিয়ায় বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি এখনও ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধিদল না আসা পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থলেই থাকবে বলে জানিয়েছেন মেঘনা গ্রুপের রক্ষাণাবেক্ষণ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শুক্রবার বিকালে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে কোনও রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। এছাড়া হেলিকপ্টারটি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স করা রয়েছে। এ কারণে তাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধিদল এখনও ঘটনাস্থলে আসেননি। তারা এলে হয়তো শিগগিরই কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত উখিয়া থানার পুলিশের হেফাজতে ছিল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি। পরে মেঘনা গ্রুপের কাছে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হেলিকপ্টারটি জোয়ারের পানি থেকে মুক্ত রাখার জন্য তীরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে, বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত জানান, হেলিকপ্টারটি কক্সবাজারে প্রবেশের সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। এরপরও দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি ব্যাগ, বই ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর শুক্রবার বিকালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাফর আহমদ, কনসালটেন্ট হাসমিসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকায় চলে গেছেন। এ কারণে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলো তদন্ত সংস্থাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ইনানি নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে কক্সবাজারের উখিয়ার রেজু খালের মোহনায় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। দরজা খুলে সেলফি তুলতে ও ভিডিও করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ‘S2-AIB, R-66’ নামে হেলিকপ্টারটি। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। এতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার শাহ আলম (৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা ঈগলের কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এতে পাইলটসহ আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। :
পাঠকের মতামত